বাংলাদেশের উন্নয়নে রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের অবদান অনস্বীকার্য। পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করে নিজের দেশের মাটি-মায়াকে পেছনে ফেলে তারা জীবনের সব কঠিন বাস্তবতাকে সঙ্গী করে ভিনদেশের মাটিতে কাজ করেন। আর তাদের এই কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগের বিনিময়ে উপার্জিত অর্থই দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দ্বিতীয় দিনের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় মেলা। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় ও সানাই পার্টি সেন্টারে আয়োজিত এ মেলায় অভিবাসী বাংলাদেশিদের উপচে পড়া ভিড় ছিল।
প্রবাসীদের মালিকানায় হাসপাতাল তৈরি করার কথা জানিয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ওই হাসপাতালে প্রবাসীরা শুধু চিকিৎসা সুবিধাই পাবেন না, তারা মালিকও হবেন।
৩ মার্চ দাম্মাম শহরের একটি এলাকায় গ্যাস সঞ্চালন লাইনের কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় কাউছার মারা যান। তার মৃত্যুর খবরটি দেশে পৌঁছায় প্রতিবেশী এক প্রবাসীর মাধ্যমে। কাউছারের মৃত্যুতে শুধু পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে চুরমারই হয়নি, বাবার ওপর চেপে বসেছে ঋণের বোঝা।
শ্রমবাজারের সংকট কাটিয়ে উঠতে নিউজিল্যান্ড সরকার অভিবাসীদের কাজের অভিজ্ঞতার শর্ত তিন থেকে কমিয়ে দুই বছর করেছে। এই পদক্ষেপের কারণে যোগ্য কর্মীরা এবার প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডে আরও সহজে কর্মসংস্থান খুঁজে পাবেন।
বাংলাদেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্র্যাক ও গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড একটি চুক্তি সই করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল আইনে সড়ক দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ জামাল (৫৩) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টার মুখে শুনে আসছি, প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার কথা, বিমানবন্দরে প্রবাসীদের ভিআইপি মর্যাদা দেওয়ার কথা।
মালয়েশিয়ার সরকার পেট্রল স্টেশনে কর্মরত প্রবাসী কর্মীদের জন্য নতুন সুযোগের ঘোষণা দিয়েছে। এখন থেকে বিদেশি কর্মীরা পেট্রল স্টেশনগুলোর ক্যাফে ও স্টোরে কাজ করতে পারবেন।
প্রবাসী কর্মীর ২০২৪ সালের এসএসসি এবং ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পাস করা সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেবে সরকার। এ জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নে রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের অবদান অনস্বীকার্য। পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করে নিজের দেশের মাটি-মায়াকে পেছনে ফেলে তারা জীবনের সব কঠিন বাস্তবতাকে সঙ্গী করে ভিনদেশের মাটিতে কাজ করেন। আর তাদের এই কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগের বিনিময়ে উপার্জিত অর্থই দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
০১ মে ২০২৫